বাংলাদেশ বিচার বিভাগ ও গনতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হককে গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসর উচ্চ ও নিম্ন আদালতের দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারকদের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুষ্টিয়া।
মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া কোর্ট চত্বরে উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ্যাড. মাহাতাবউদ্দীনের সভাপতিত্ব বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কোর্টের স্পেশাল পিপি এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু, কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শাতিল মাহমুদ, নারী শিশু কোর্টের পিপি এ্যাড. খন্দকার সিরাজ, এ্যাড. গোলাম মহসিন প্রমুখ।
এসময় বক্তব্য সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হককে গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এবং ফ্যাসিবাদের দোসর উচ্চ ও নিম্ন আদালতের দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারকদের অপসারণের দাবি জানান।
এসময় এ্যাড অপু বললেন, ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সবথেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে বিএনপি এবং দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হয়েছিল। ২০০৬ সালে তোদশ সংশোধনীতে বিএনপি সকল নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার আইন পাস করে। এরপর থেকেই বিএনপি`র বিরুদ্ধে দেশি ও আন্তর্জাতিক মহল ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিএনপিকে সরিয়ে ২০০৬-৭ সালে মইনুদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকার গঠন করে। বিএনপি`র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র তখন থেকেই শুরু। মইনুদ্দিন ফখরুদ্দনের সমস্ত অপকর্ম ঢাকার জন্য আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসান। এই আওমীলীগ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য এই চিফ জাস্টিস খাইরুল হকের আশ্রয় নিয়েছিল। উনি সেই তদশ সংশোধনী বাতিল করে দিয়েছিলেন। এই খাইরুল হক আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য এহেন অপকর্ম নাই যে করেনি এই বিচার বিভাগের মাধ্যমে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশে ছাত্র সমাজে আওয়াজ তুলেছে, আইনজীবীরা আওয়াজ তুলেছে, সাধারণ মানুষ আওয়াজ তুলেছে অনুমতি বিলম্বে এই খাইরুল হককে গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়াও এখনো যেসব বিচারক ছাত্রলীগের মতন আচরণ করেছে তাদেরকে অনতি বিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :