পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদ নেতৃবৃন্দ

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব এর যন্ত্রাংশ চুরির বিষয়ে খোঁজ নিতে যান কুষ্টিয়া পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ। রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. নাসির উদ্দীন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হোসেন ইমাম এর সাথে সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদ এর আহ্বায়ক এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু, সদস্য সচিব কে এম জাহিদসহ সঙ্গীয় নেতৃবৃন্দ। 

এসময় এ্যাড. শামিম উল হাসান অপু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান কিভাবে পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে, না-কি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা? সিকিউরিটি বিষয়েও জানতে চান তিনি। তিনি আরো জানতে চান যে, এখন আবার করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়াচ্ছে। এবিষয়ে আপনাদের প্রস্তুতি ও সাধারণ মানুষের করোনীয় কি?

এসময় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. নাসির উদ্দীন বলেন, ২০১৯/২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে একমাত্র পিসিআর ল্যাব কয়েকটি জেলার ভরসা হয়ে উঠে এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। আমরা গত ১০ মে পিসিআর ল্যাবের অল্প কিছু যন্ত্রাংশ ও এসির ৬টি আউটডোর ও একটি ইনডোর চুরি হয়েছে বলে জানতে পারি। পিসিআর ল্যাবের চুরির বিষয়ে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই পিসিআর ল্যাব কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের। মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল স্যার এসে বাকী যন্ত্রাংশ নিয়ে গেছে এবং তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই পিসিআর ল্যাব চালু করার সম্ভব হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, করোনা নতুন ভেরিয়েন্ট ছড়াচ্ছে। আমরা হাসপাতালে আইসুলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রেখেছি। এছাড়াও তিনি সকলকে মাক্স ব্যবহারের জন্য অনুরোধ জানান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হাফিজ লালু, আজমত আলী খান মনি, শাহারিয়া ইমন রুবেল প্রমুখ।