প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৫, ০২:১২ পিএম
ভিডিও থেকে নেওয়া
সবশেষ অনুষ্ঠিত রাতের ভোট খ্যাত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হবে বলে বক্তব্য দেওয়া সেই আনোয়ার হোসেন ইতিমধ্যে বিএনপিতে তরী ভিড়িয়েছেন। এখন তিনি নিজেকে বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের তালিকায় তুলে এনেছেন। তবে ইতিমধ্যে তার দেওয়া সেই বক্তব্য পুনরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।
আনোয়ার হোসেন কুষ্টিয়ার বটতৈল ইউনিয়নের খাজানগর এলাকার বাসিন্দা ও সালাম অটো রাইস মিলের সত্ত্বাধিকারী।
এদিকে নিজেকে বিএনপি সমর্থিত ব্যক্তি দাবি করে প্রতিবেদকের কাছে বক্তব্য দিয়েছেন আনোয়ার হোসেন। তবে আওয়ামী লীগের শাসনামলে বিএনপির কোন কর্মসূচিতে তার অংশগ্রহণ নিয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। এমনকি আওয়ামী লীগ শাসনামলে তার নামে কোন মামলা হওয়ারও প্রমাণ মেলেনি। তার দাবি- জনসম্মুখে নয়, অন্তরালে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দেওয়া হতো। বাধ্য হয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সাথে মিশে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে গেছেন।
৫৬ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ঐ বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন বলেছিলেন- "৪ নং বটতৈল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে খুব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়ে গেছে। ব্যাপক পরিমাণে সাড়া পেয়েছি। সাধারণ জনগণ সবাই আমাদের এখানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আশা করছি, আমাদের এখানে ৮০ শতাংশের উপরে ভোট পুল হবে। বেশিরভাগ ভোট নৌকা পাবে। অল্প কিছু ভোট অন্যরা পাবে। নৌকা প্রতীক বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।"
প্রসঙ্গে স্থানীয়দের একাংশ বলেছেন- আওয়ামী লীগের শাসনামলে যত বার সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ততবার ভোটের আগেরদিন ভোট হয়ে গেছে। রাতের আঁধারে ভোটবাক্সে ভোট পুল করা হয়ে যেত। সেই নির্বাচনকে যারা অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক বলেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগের দোসর। ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা অনেকেই বহাল তবিয়তে রয়েছেন। জার্সি পরিবর্তন করে অনেকেই নিজেদের অনান্য রাজনৈতিক দলের আদর্শিক নেতা হিসেবে দাবি করছেন। তারা আসলে সুবিধাবাদী। এদের কোন দল নেই। এ ধরনের মানুষদের পদ পদবী ও সুবিধা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :