প্রকাশিত: জুলাই ১৪, ২০২৫, ১১:০০ এএম
কুষ্টিয়া সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুমা আক্তার জাহানের সঙ্গে আখ চাষীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টায় মিলের ট্রেনিং সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এমডি মাসুমা আক্তার জাহান এবং সঞ্চালনা করেন জিএম (কৃষি) সাজ্জাদ হোসেন।
সভায় কুষ্টিয়া সুগার মিল পুনরায় চালু এবং আখ চাষীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
এমডি মাসুমা আক্তার জাহান বলেন, “মিল চালু হওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে পর্যাপ্ত আখ প্রাপ্তি। এজন্য আমাদের আখের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কুষ্টিয়ার মাটি অত্যন্ত উর্বর, এখানে পানি জমে না, যা আখচাষের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে।”
তিনি চাষীদের আগাম আখ রোপণ, এসটিপি বেড স্থাপন এবং বর্তমানে মাঠে থাকা আখের পরিচর্যা ও কীটনাশক ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চাষীরা সভায় আখ চাষে ব্যয় বৃদ্ধি, ন্যায্য দাম, উন্নত জাতের চারা, বীজ ও সার প্রণোদনার দাবি জানান।
এ সময় কুষ্টিয়া সুগার মিল আধুনিকায়ন ও রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু মনি সাকলায়েন এলিন বলেন, “আখ একটি দীর্ঘমেয়াদি ফসল। লাভ পেতে হলে কৃষককে অন্তত তিন বছর জমি ধরে রাখতে হয়। জমির স্বল্পতার কারণে অনেকেই আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন।”
তিনি সরকারি পরিত্যক্ত জমি এবং পদ্মা-গড়াইসহ এলাকার নদী ও বিলের চরাঞ্চলে আখ চাষের উদ্যোগ নিতে এমডিকে পরামর্শ দেন। এতে একদিকে যেমন ফসলি জমি রক্ষা পাবে, তেমনি মিলের আখ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মিলের সিআইসি আক্তার উজ্জামান, উপ-সহকারী ইক্ষু উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, ইক্ষু উন্নয়ন কর্মকর্তা জহুরুল, রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি শাহারিয়া ইমন রুবেল প্রমুখ।
সভা শেষে এমডি মাসুমা আক্তার জাহান মিল চালুর লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন এবং আখ চাষ বৃদ্ধিতে কৃষকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি ভবিষ্যতেও কৃষকদের সঙ্গে পুনরায় মতবিনিময়ের ঘোষণা দেন।
প্রসঙ্গত, কুষ্টিয়া সুগার মিল ২১৬ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬১ সালে মিলটির নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে চিনি উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার এটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আকস্মিকভাবে ২০২০ সাল থেকে মিলটির আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এর যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন সম্পদ ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :