প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
কুষ্টিয়া শহরে সামান্য বৃষ্টিপাতেই সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। রাস্তাঘাট পরিণত হচ্ছে নদীতে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। প্লাবিত হচ্ছে দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থার জন্য পৌর প্রশাসনের দীর্ঘদিনের অবহেলাকেই দায়ী করছেন নাগরিক প্রতিনিধিরা।
পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামিম উল হাসান অপু বলেন, “ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে বছরের পর বছর পৌর প্রশাসনের কোনো নজর নেই। এই অব্যবস্থাপনাই আজকের এই দুর্ভোগের মূল কারণ।”
তিনি আরও জানান, বড়বাজার, মজমপুর গেট, হাসপাতাল রোড, লালন রোড, চৌড়হাস মোড়সহ শহরের অধিকাংশ এলাকার ড্রেনগুলো বছরের পর বছর অযত্নে পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সেগুলো উপচে পড়ে, জমে থাকা আবর্জনায় পানি নিষ্কাশনে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতা কুষ্টিয়া পৌর প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করেন তিনি।
শহরের মানুষ সকালে কোমরসমান পানি পার হয়ে অফিস, স্কুল বা হাসপাতালে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রোগীদের যাতায়াতেও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা কার্যক্রম ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে।
কুষ্টিয়া পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব কে এম জাহিদ বলেন, “পৌর প্রশাসন সেভাবে মাঠে নেই, সমস্যার বাস্তব চিত্র দেখার বা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়ার কোনো আগ্রহ তাদের মধ্যে নেই। পৌরসভা পরিচালনার সক্ষমতা আছে—এমন ধারণা জনমনে নেই বললেই চলে।”
পরিষদের সদস্য শাহারিয়া ইমন রুবেল বলেন, “শুরু থেকে আজ পর্যন্ত শুধু অজুহাত আর আশ্বাস শুনে এসেছি। বাস্তবে কোনো কাজ নেই। এখনই যদি জরুরি ভিত্তিতে ড্রেন সংস্কার ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু না করা হয়, তবে জনগণ জবাবদিহিতা ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের দাবি জানাতে বাধ্য হবে।”
উল্লেখ্য, নগর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা কার্যক্রমের ঘোষণা না পাওয়ায় নাগরিকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে।
আপনার মতামত লিখুন :