ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

অর্থনীতির গেমচেঞ্জার: দৃশমান অগ্রগতি হাতে নিয়েই মাতারবাড়ি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আমাদের খবর ২৪

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০৮:৪৮ পিএম

অর্থনীতির গেমচেঞ্জার: দৃশমান অগ্রগতি হাতে নিয়েই মাতারবাড়ি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

অর্থনীতির গেমচেঞ্জার একগুচ্ছ প্রকল্পের দৃশমান অগ্রগতি হাতে নিয়ে প্রায় তিন দশক পর কক্সবাজারের মাতারবাড়ি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাতারবাড়ি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেলসহ উদ্বোধন করবেন বেশ কিছু বড় প্রকল্পের, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সমুদ্রবন্দ্ররের প্রথম টার্মিনালের। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে মাতারবাড়ি সেজেছে বর্ণিল সাজে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মাতারবাড়ির জনসভা রূপ নেবে কয়েক লাখ মানুষের গণজমায়েতে।

এক দশক আগেও যা ছিল অবহেলিত এলাকা, প্রান্তের সে জনপদ এখন বলছে পরিবর্তনের কথা। মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো ২৭৫ মিটার সুউচ্চ চিমনির ধোঁয়া জানান দিচ্ছে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। এভাবে বিশাল কর্মযজ্ঞে জ্বালানি তেল সঞ্চালনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং-এসপিএম, ভাসমান এলএনজি টার্মিনালসহ বিভিন্ন প্রকল্পের হাত ধরে মাতারবাড়ি-মহেশখালী গড়ে উঠছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির পরিকল্পিত হাব হিসেবে।

আর এসব কেন্দ্র করে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশেই গড়ে উঠছে দেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর, যা মাতারবাড়িকে গড়ে দেবে দক্ষিণ এশিয়ার বিজনেস হাব হিসেবে।

প্রায় তিন দশক আগে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে মাতারবাড়ি গিয়ে যে স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, শনিবার (১১ নভেম্বর) সেসবের দৃশ্যমান অগ্রগতি স্থানীয়দের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দেবেন সরকারপ্রধান। উদ্বোধন করবেন মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন ঘিরে মাতারবাড়িতে এসব প্রকল্প এলাকার পাশেই টাউনশিপ মাঠে আয়োজন করা হয়েছে জনসভার। আর মাতারবাড়িকে বদলে দেয়ার কারিগরকে বরণ করে নিতে স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে জনসভা মাঠ পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলেন, কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে জনসভা রূপ নেবে নজিরবিহীন গণজমায়েতে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে; শান্তির পক্ষে। যারা আগুন দিয়ে মানুষ মারে, পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করে; দেশের মানুষ তাদের পক্ষে থাকবে না। আসন্ন নির্বাচনে জনগণ উন্নয়ন ও শান্তির পক্ষেই রায় দেবে, আওয়ামী লীগের পক্ষেই রায় দেবে।

নির্বাচনের আগমুহূর্ত আর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনসভা ঘিরে নিজেদের সাংগঠনিক ক্ষমতার জানানও দিতে চায় আওয়ামী লীগ।

Link copied!