প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
দেহ তল্লাশী, মালামাল জব্দ ও অপরাধীকে আটক করার মতো ক্ষমতা পাচ্ছে আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা। পাশাপাশি বাহিনীতে বিদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি করা হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। সোমবার (২৩ অক্টোবর) সংসদে এ বিধান রেখে ‘আনসার ব্যাটালিয়ন বিল ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বিলটি উত্থাপন করলে তা তিনদিনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে এদিন বিলটির ওপর আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমাম।
জাতীয় পার্টির এ সদস্য বলেন, পুলিশের সমান্তরাল ক্ষমতা যদি আনসার বাহিনীকে দেয়া হয়, তাহলে দুটি বাহিনীর অবস্থান মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে। বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
ফখরুল ইমামের আপত্তির জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামনে নির্বাচন। নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করলে পুলিশ ছাড়াও আনসার সদস্যদেরও মোতায়েন করতে হবে। এরপর কণ্ঠভোটে জাপার ওই সদস্যের দাবি নাকচ হয়ে যায়।
এদিকে সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, চলতি অধিবেশনেই এ বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একাদশ সংসদের সবশেষ চলমান অধিবেশন আগামী ২ নভেম্বর শেষ হবে। আর এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিলটি অনুমোদন দেয়া হয় মন্ত্রিসভায়।
প্রস্তাবিত এ বিলের ৮ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাটালিয়ন সদস্যের সামনে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমোদনক্রমে অপরাধীকে আটক করে পুলিশের কাছে অবিলম্বে সোপর্দ করবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি, কোথাও প্রবেশ ও তল্লাশি এবং মালামাল জব্দ করতে পারবে।
এ বিলের ২১ ধারায় বাহিনীতে বিদ্রোহ সংগঠন বা বিদ্রোহ সংগঠনের প্ররোচনায় সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। পাশাপাশি অপরাধ বিচারের জন্য সংক্ষিপ্ত আনসার আদালত এবং বিশেষ আনসার আদালত নামে দুটি আদালত গঠনের কথাও উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া সরকারি বা ব্যাটালিয়ন সদস্যদের সম্পত্তি চুরি করা, যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্যারেডে অনুপস্থিত থাকা, কর্মস্থলে অনুপস্থিত, দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রদর্শন অপরাধ হিসেবে গণ্য করে চাকরি থেকে বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অপসারণের শাস্তির বিষয়ও উল্লেখ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :