ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন: ঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে দিল্লি

আমাদের খবর ২৪

প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৩, ০৩:০৪ পিএম

দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন: ঢাকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে দিল্লি

বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর এবার দেশের অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে ভারত। সোমবার (২১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিএম কাদেরের নেতৃত্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দলকে দিল্লি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যারা বাংলাদেশে একটি ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সর্বদলীয় সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছে।

দ্য হিন্দু বলছে, জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলের এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ ভারত জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আতিথ্য দেয়ার পরিকল্পনা করেছে, যেখানে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ‘অতিথি দেশ’ হিসেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কেন্দ্রে আছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে তাদের দাবির বিষয়টি। তবে আসন্ন নির্বাচন যথাসময়ে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই অনুষ্ঠিত হবে বলে জোর দিয়ে আসছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। কারণ, ২০১১ সালে সংসদীয় আইনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

দ্য হিন্দুকে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে কথা বলেছেন জিএম কাদের। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- উভয় দল থেকে সমদূরত্ব রেখে তিনি বলেছেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে সরকারের এগিয়ে আসা খুবই জরুরি। আমরা মনে করি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য সব পক্ষের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত।’

যদিও বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি সমর্থন জানাননি কাদের। বলেছেন, ‘তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য জোর দিয়ে আসছে, কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন ঠিক কেমন হওয়া উচিত তা স্পষ্ট করেনি।’

এর পরিবর্তে ‘তৃতীয় বিকল্পের’ কথা তুলে ধরেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান, যা উভয় পক্ষের কঠোর অবস্থানের সমাধান করতে পারে বলে মত তার। দ্য হিন্দুকে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মনে একটি সূত্র আছে এবং যখন সর্বদলীয় সংলাপ হবে তখন আমরা এটি উত্থাপন করব।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এমন সময়ে ভারত সফর করছেন, যখন দেশের নির্বাচন ইস্যুতে সরব হয়ে উঠেছে ওয়াশিংটন ও দিল্লি।

হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান রিখ ম্যাককরমিক এবং ইডি কেস বাংলাদেশ সফর করেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের পাশাপাশি বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর গত ১৭ আগস্ট ওই দুই কংগ্রেসম্যান ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (ওআরএফ) উদ্যোগে এক ‘রুদ্ধদ্বার বৈঠকে’ অংশ নেন।

যদিও এর একদিন আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন প্রজেক্টের মিডল ইস্ট ফোরামের পরিচালক ক্লিফোর্ড স্মিথের সঙ্গে বৈঠক করে ওআরএফ। দ্য হিন্দু বলছে, ‘ওই বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যুক্তরাষ্ট্র কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্মিথ।’

বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম নিয়েও বিশদ আলোচনা করেন স্মিথ। বলেন, একসময় জামায়াতের ছাত্র শাখা (শিবির) ‘বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস’ সংগঠন ছিল।

প্রতিবেদনের শেষ অংশে বলা হয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা আরও গভীর হবে, কারণ নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা উভয়েই ব্রিকস সম্মেলন যোগ দিতে জোহানেসবার্গে যাবেন। ব্রিকস সদস্যপদ চাইছে এমন কয়েকটি অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

Link copied!