ভারত-পাকিস্তানের চলমান সংঘাতের মধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে ২০২৫ আইপিএল। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
নিরাপত্তা শঙ্কা থাকায় গতকাল ধর্মশালায় আইপিএলের একটি ম্যাচ মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপরই জরুরি বৈঠকে বসে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকেই এলো বড় সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলা ছিল। ম্যাচটি চলাকালীন সময়ে জম্মুতে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়। যার জেরে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আলো নিবিয়ে দেওয়া হয়। ফ্লাডলাইট নিভে যায় ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামেরও। এর ফলে খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকের পরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আপাতত স্থগিত রাখার। এর আগে ভারতে জাতীয় নির্বাচন কিংবা করোনা মহামারির সময়েও টুর্নামেন্টটি বন্ধের নজির ছিল না। সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল অন্যত্র। কিন্তু ভারত-পাক সংঘাতের মাঝে স্থগিত করা হলো জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগটি।
বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম বলছে, দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ কারণে টুর্নামেন্টটি আপাতত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে কবে কখন আবার শুরু হবে সেটি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আইপিএলে এখনও লিগ পর্বে ১২টি ম্যাচ বাকি। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব-দিল্লি ম্যাচটি বাতিল হলেও তার পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়নি। বোর্ড যদি পরে আইপিএল আবার আয়োজন করে, তাহলে এই ম্যাচটিও হতে পারে। সেই সঙ্গে প্লে-অফের চারটি ম্যাচ রয়েছে।
এর আগে টুর্নামেন্টটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় পিটিআইকে আইপিএলের সিইও অরুণ ধুমাল বলেছিলেন, “আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে। সরকারের তরফে আমাদের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদিও পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে। সব পক্ষের কথা মাথায় রেখেই আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
এদিকে, চলমান সংঘাত ও উত্তেজনার মাঝেই পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) বাকি অংশ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :